সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০১:২৮ পূর্বাহ্ন
ময়নুল ইসলাম : গতকাল শুক্রবার গাইবান্ধা জেলা স্টেডিয়ামে গাইবান্ধার ফুটবল ইতিহাসে সর্বোচ্চ দর্শকের উপস্থিতিতে সেরা ফাইনাল ম্যাচে টাইব্রেকারে গাইবান্ধা পৌরসভাকে ৪-৩ গোলে হারিয়ে টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন হয়েছে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা।
এদিন খেলা শুরুর ৮ মিনিটেই জীবনের গোলে এগিয়ে যায় গোবিন্দগঞ্জ, কিন্তু ২০ মিনিটে ওমর সার পৌরসভার হয়ে গোলে করে সমতায় ফেরায় দলকে। ম্যাচের ৩৮ মিনিটে সজিবের লক্ষভেদে ২-১ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় গাইবান্ধা পৌরসভা।
বিরতি থেকে ফিরে জীবনের গোলে গোবিন্দগঞ্জ ২-২ গোলে সমতায় ফিরলেও বাকি সময় কোনো দল গোল না করতে পারায় ম্যাচ গড়ায় ট্রাইব্রেকারে।
টাইব্রেকারের ১ম দুই শটে উভয় দলেই গোল লক্ষভেদ করলেও ৩য় ও ৪র্থ শটে গোল করতে ব্যর্থ হয় গাইবান্ধা পৌরসভা।
অন্যদিকে গোবিন্দগঞ্জ ৩য় শট মিস করলেও ৫ম শটে মামুন আলিফ বল জালে জড়ালে চ্যাম্পিয়ন ট্রফি নিশ্চিত হয় গোবিন্দগঞ্জের।
ফাইনাল ম্যাচে দুর্দান্ত পারফ্যম্যান্স করে ম্যাচসেরা হন গোবিন্দগঞ্জের গোলকিপার মামুন আলিফ, ১১ গোল করে গোবিন্দগঞ্জের জীবন হন টুর্নামেন্টের সেরা গোলদাতা এবং পুরো টুর্নামেন্টে অসাধারণ খেলে টুর্নামেন্ট সেরা হন গাইবান্ধা পৌরসভার সজিব।
উল্লেখ্য গতকাল খেলা শুরু হওয়ার ১ ঘন্টা আগে থেকেই দর্শকে পরিপূর্ণ হতে থাকে গ্যালারী। পরে গ্যালারীতে জায়গা না হওয়ায় দর্শক মাঠের ভিতর হাজার হাজার দর্শক প্রবেশ করে প্রচন্ড গরমে চারপাশে বসে এবং দাড়িয়ে খেলা উপভোগ করে এ সময় মাঠ কানায় কানায় পরিপুর্ণ হয়ে যায়। খেলা দেখতে আসা ফুটবলপ্রেমিরা বলেন তারা কখনো গাইবান্ধায় এত দর্শক একসঙ্গে ফুটবল খেলা দেখেনি। সুন্দর আয়োজন ও দর্শক উপস্থিতিতে টুর্নামেন্টের প্রাপ্তি ও স্বার্থকতা দেখেন আয়োজক কমিটির সদস্যরা। খেলা শেষে চ্যাম্পিয়ন দলের হাতে চ্যাম্পিয়ন ট্রফি তুলে দেন গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক চৌধুরী মোয়াজ্জম আহমদ। এসময় জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তা ছাড়াও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। ফাইনাল খেলা ঘিরে দর্শকদের নিরাপত্তা রক্ষার্থে ব্যাপক সংখ্যা পুলিশ, আনসার, বিজিবি ও সেনাবাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়।